1. alimsnb0@gmail.com : Abdul Alim :
  2. zunaid365@gmail.com : Engineers Voice :
  3. robinsnb18@gmail.com : Robin :
করোনাকালে ঋণ শোধে অনন্য কৃষক - Engineers Voice
সংবাদ শিরোনাম :
আইইবি, রাজশাহী কেন্দ্রে বজ্রপাত প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত চুয়েটে বিএমই বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ পালিত জেসিআই রাজশাহী ২০২৫ সালের নেতৃত্ব ঘোষণা: আমানুল্লাহ বিন আক্তার আবিদ ও মাহির আসেফ সংগঠনকে এগিয়ে নেবেন রাসিকের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন স্মৃতিসৌধে আইইইবির পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচুর গ্যাস থাকতে পারে যা আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে: চুয়েট ভিসি সত্যিকার দেশপ্রেম হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলার এক নিরন্তর সাধনা: চুয়েট ভিসি চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের আয়োজনে প্রথম জাতীয় কনফারেন্স শুরু হচ্ছে কাল খুলনায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনে মহান বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য র‌্যালী

করোনাকালে ঋণ শোধে অনন্য কৃষক

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০
Paddy Cuttuing

যখন বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঋণ আদায়ে গলদঘর্ম অবস্থা ব্যাংকগুলোর, তখন ঋণ পরিশোধের অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করে চলেছেন দেশের কৃষকরা।

করোনায় পুরো অর্থনীতি যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছেন তারা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আদায় বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে কৃষিঋণ আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল হাকিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কৃষিঋণ আদায় বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি চাপ নেই। বরং আমরা বিতরণ বাড়াতে চাপ দিচ্ছি।‘

তার মতে, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায়, আদায় বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ’কৃষকদেরকে ঋণ দিতে অনেক ব্যাংক অনীহা থাকে। কিন্তু এরা ঋণ ফেরতের দিক দিয়ে এগিয়ে। কারণ তারা ক্ষমতাহীন।

‘টাকা ফেরত না দিলে ঠিকেই বিপদে পড়বে। এই ভয়ে তারা টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু শিল্প খাতে বড় বড় ঋণ খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর বেশির ভাগই জালজালিয়াতি করে টাকাগুলো বের করে নেয়া হয়েছে। এর অনেক শক্তিশালী। তফাতটা এখানেই।’

বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষি ঋণ আদায় বন্ধ রাখার পরও, আদায়ের এ চিত্র নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে।

চলতি বছরের ২৩ জুলাই বন্যা কবলিত এলাকায়, পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কৃষিঋণ আদায় স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চালু রাখতে বলা হয়, নতুন ঋণ বিতরণ কর্মসূচিও।

এ সময়ে নতুন করে ছয় হাজার ৬২৯ কোটি টাকা ঋণ পান কৃষকরা, যা বছরের লক্ষ্যমাত্রার ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে টাকার অঙ্কে যা ৩১৮ কোটি টাকা বেশি।

চলতি অর্থবছরে ৫৯টি ব্যাংকের ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শস্য উৎপাদনে তিন হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি সেচ যন্ত্র কিনতে ৫৬ কোটি টাকা, কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে ৪২ কোটি টাকা, পশুপাখি ও হাঁস মুরগি পালনে ১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা, মাছ চাষে ৭২৪ কোটি টাকা, শস্য সংরক্ষণ ও বিপণনে ৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকগুলো।

এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য খাতে পল্লি ঋণ বিতরণ হয়েছে এক হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।

বর্তমানে ব্যাংক খাতে কৃষিঋণের স্থিতি বা পরিমাণ ৪৩ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক ছয় হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। কৃষি খাতে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।

মূলধারার কৃষিঋণের পাশাপাশি বর্তমানে কৃষিখাতে চার শতাংশ সুদে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায়ও কৃষিঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে এ খাতের ঋণ বিতরণে অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© স্বত্ত্বঃ ইঞ্জিনিয়ার্স ভয়েস: ২০১৭-২০২৪ --- “ইঞ্জিনিয়ার্স ভয়েস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।

Site Customized By NewsTech.Com