রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ মর্তুজা আলী (৬৪) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার আনুমানিক রাত ২:০০ টায় পোস্ট কোভিড-১৯ ইফেক্টে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
প্রফেসর ড. মোঃ মর্ত্তুজা আলী গত ০৭ জুলাই বুধবার কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ হন। এরপর ০৯ জুলাই শুক্রবার ডাক্তারের পরামর্শে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হন। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আইসিইউ থেকে পুনরায় কেবিনে নেয়া হয়। গত ২৫ জুলাই রবিবার কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৭২ এ নেমে আসে। এরপর রাত ১১:০০ টায় তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৫২ তে নেমে যায় পওে রাত ২:০০ টায় তিনি মারা যান।
প্রফেসর ড. মোঃ মর্ত্তুজা আলী’র মৃত্যুতে রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম সেখ গভীর শোকপ্রকাশ করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। রুয়েট ভিসি বলেন, “ ড. মোঃ মর্ত্তুজা আলী ছিলেন বিনয়ী , স্বল্পভাষী, সহজ-সরল, ধর্মপরায়ন ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক যার কৃতিত্ব তিনি রেখে গেছেন তাঁর প্রশাসনিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে। তাঁর অশাল মৃত্যুতে আমরা একজন সুযোগ্য শিক্ষককে হারালাম, জাতি হারালো একজন দক্ষ প্রকৌশল শিক্ষাবিদকে।”
এছাড়া রুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন রিওসা সহ রুয়েটের সর্বস্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
মরহুমের প্রথম জানাজা ২৬ জুলাই সোমবার সকাল ৮:০০ টায় রুয়েট কেন্দ্রীয় জামেমসজিদ প্রাঙ্গনে রুয়েটে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেও উপস্থিতে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলাসাড়ে ১১ টায় গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা শেষে দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী , এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
© স্বত্ত্বঃ ইঞ্জিনিয়ার্স ভয়েস: ২০১৭-২০২৪ --- “ইঞ্জিনিয়ার্স ভয়েস” এ প্রকাশিত/প্রচারিত যেকোন সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও বা ভিডিওচিত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নিষিদ্ধ।
Leave a Reply